১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

শরীয়তপুরের দুর্গম চরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২০ হাজার পরিবার

নদীর বুকে জেগে ওঠা চর। সেই চরে যাতায়াত করাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে- এমনটা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে একথা কয়েক বছর আগেও মানুষের কাছে স্বপ্ন ছিল।  সেই স্বপ্নই বাস্তবে দেখছে পদ্মানদীবেষ্টিত নওপাড়া, চরআত্রা ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে তারা পাচ্ছে এ বিদ্যুৎ। এজন্য শরীয়তপুরের তিন ইউনিয়নের ৭২ হাজার মানুষের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়ন পড়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। আর কাঁচিকাটা ইউনিয়নের অবস্থান ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। এ তিন চর ইউনিয়নে প্রায় ৭২ হাজার মানুষের বসবাস।

গত সংসদ নির্বাচনে এই এলাকাবাসীর দাবি ছিল তাদেরকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে হবে। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হন।

তিনি ওই তিন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিষয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয় মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদী দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেয়া হবে দুর্গম চরে। পরে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই তিনটি ইউনিয়নের কার্যক্রম মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে হস্তান্তর করা হয়। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে এ বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

সেই কাজের ফল পেতে চলছে নওপাড়া, চরআত্রা ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের পরিবারগুলো। তাই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৭২ হাজার মানুষ ভাসছে আনন্দের জোয়ারে।

চারদিক দিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদী। মাঝে ছোট-বড় অসংখ্য চর। ৭০ বছর আগে থেকে ওই চরে মানুষ বসবাস শুরু করেছে। চরগুলোর অবস্থান ওই তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে। চরের মানুষ হারিকেন ও প্রদীপের আলো ছাড়া কখনো বিদ্যুতের আলো পায়নি। কিন্তু এবার পদ্মানদীর তলদেশ দিয়ে সেই চরে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ